বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর কালুখালীতে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় আট ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান নবাব ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী কালুখালী উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭/১১ ধারা মোতাবেক ওই আটজনকে বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কৃত প্রার্থীরা হলেন- মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন সরদার, একই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুজ্জামান।
বহিষ্কার হওয়া অন্যরা হলেন- সাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী, মাঝবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন, মদাপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মজনু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান বলেন, তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় তাদের রোববার বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিও তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া মদাপুর ইউনিয়নের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মিজানুর রহমান মজনু বলেন, আমি আমার জনপ্রিয়তার কারণে নির্বাচন করছি। ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের ভালো সমর্থন পাওয়ায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচন করছি না। আমি আমার জনপ্রিয়তার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। ইনশাআল্লাহ আমি এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতব।
বহিষ্কার হওয়া মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন সরদার জানান, এভাবে বহিষ্কার করার কোনো এখতিয়ার নেই। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এর উত্তরও দিয়েছেন। পরে বহিষ্কারের বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি।
বহিষ্কার হওয়া মাঝবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন বলেন, আমি এই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলাকায় আমার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু এই ইউনিয়নে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি দলের সদস্য নন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা কোনো কমিটিতেই তিনি নেই।